পহেলা বৈশাখে মেলায় ঘুরতে গিয়ে আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত,,।
প্রথমে জানাই সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ,,।
আজ পহেলা বৈশাখ, পুরান দিনগুলোকে পেছনে রেখে নতুন দিন গুলোকে হাসি আনন্দ দিয়ে বরণ করে নেওয়া,, আজ বিশ্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ উদযাপন স্কুল প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা পরিবারে। ঠিক তেমনি আমাদের ভিতরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশাল বড় মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।।
বিজিবির প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টের মানুষ এগুলো খুব সুন্দর ভাবে ম্যানেজমেন্ট করেছে ,, যেগুলো দেখলে সত্যি পহেলা বৈশাখের আনন্দটা আরও বেশি বেড়ে যায়,,এখানে মেলা হবে অনুষ্ঠান হবে এ নিয়ে কথা হচ্ছিল প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে, আর সে সময় থেকেই আমার মেয়ের বায়না ছিলো।। সে মেলা দেখবে এটা ওর ছোট জীবনের প্রথম মেলা, তাই রীতিমত সকাল থেকেই শুরু করছিলো মেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য,।
আর ওরে এমন বায়না দেখে আমারও ছোটবেলা কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো বারবার, পহেলা বৈশাখের দিনে শাড়ি পড়ে আমার আব্বুর সাথে মেলায় ঘুরতে যাওয়া নানান ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া পাখা সহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা কিনে ব্যাগ ভর্তি করে বাসায় ফেরা,,। প্রত্যেকটা পহেলা বৈশাখে এত বেশি আনন্দ করতাম এখনো বেশ স্মৃতি গুলো জমা আছে।।
দিন ফুরিয়ে যায় আর মানুষ বদলে যায় তাই হয়তো আমিও বদলে গিয়েছি ছেলে মেয়ের মা হয় পুরনো দিনগুলো যেন ভুলেই গিয়েছি। অনেকগুলো পহেলা বৈশাখ কেটে গিয়েছে এমন মেলায় যাওয়া হয়নি তবে এ বছর এখানে আছি তাই হাসবেন্ড সঙ্গে করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গেল মেলা দেখতে,,।
প্রথমে আমি যেতে চাইনি ছোট বাবু নিয়ে পরবর্তীতে মনে হল যেমন পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন নিজেকে সময় দেওয়া উচিত নিজেকে খুশি রাখাটা নিয়ে একমাত্র নিজের এই দায়িত্ব। আর তাছাড়া সবাই ঘুরতে যাবে আর আমি বাসায় থাকবো এতে মনটা আরো খারাপ হবে।
তাই দুপুরের পরে বিকেল বেলা সবাই চলে গিয়েছিলাম পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মেলা দেখতে সত্যি কথা বলতে যেতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগছিল কারণ বিগত দুই মাস ধরে আমি কোথাও যাইনি, আর আমাদের ভিতরে অনুষ্ঠানে মেলায় এমন কোন জিনিস ছিল যেটা উঠেনি,,।
নাগরদোলা, বাইস্কোপ, সাপ খেলা, বানরও যাদু খেলা, ঘোড়ার গাড়ি। এর পাশাপাশি রয়েছে বাচ্চাদের অনেক রকমের খেলা দেখানো জিনিস। সেই সাথে তো মাটির, বাসের, কাঠের, বেতের সকল ধরনের ব্যবহারই জিনিসপত্র উঠেছিল। আর এর পাশাপাশি তো উন্মুক্ত মঞ্চ ছিলো,যে যেমন ভাবে ইচ্ছা গান, নাচ, আবৃতি পরিবেশন করেছিলো,মানে কোনটা রেখে কোনটা উপভোগ করব,, ও হ্যাঁ খাবারের কথা তো বলতে ভুলেই গিয়েছি। সে বলে শেষ করা যাবে না,,,,।
তাছাড়া একটা সুবিধা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে যেহেতু ক্যান্টনমেন্টের ভিতরেই তাই বাহির কোন লোক আসার সুযোগ নেই সেই কারণে মেলায় খুব একটা ভিড় ছিল না তবে একদম ও কম ছিল না, আর এ কারণে শুরু থেকে হেঁটে হেঁটে শেষ পর্যন্ত দেখতে পেরেছি ভীষণ ভালো মতো। প্রত্যেকটা জিনিস খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছি।আর বেশ কয়েকটা ছবিও তুলেছিলাম,,।
এর পরে বাড়িতে চলে যাব সংসার সন্তান পড়ালেখা নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে আমাকে তাই সুন্দর ছবিগুলো তখন আমার খারাপ লাগার দিনগুলোকে ভালো করে দেবে যখন একা থাকবো তখন মনে করবো,,এক কথায় এগুলো জানো সঞ্চয় করে রাখছি। ভীষণ ভয় ছিলাম বাবুটাকে নিয়ে, তবে আলহামদুলিল্লাহ একটু কান্না পর্যন্ত করেনি একদম শান্ত ভদ্র মত আমার সাথে মেলা দেখেছে। সবাই দোয়া করবেন আমার এবং আমার এই ছোট্ট পরিবারের জন্য।।
এইতো এভাবে আমি আমার বছরের প্রথম দিনটা কাটিয়েছি হাসিও আনন্দ দিয়ে, দুঃখগুলো ভুলে গিয়েছে মনে রাখতে চাই না মনে করতেও চাইনা আগামী দিনগুলো যেন আপনাদের নিয়ে ভালোভাবে কাটাতে পারি সেই প্রত্যাশাই করছি,,, সবশেষে বলবো পহেলা বৈশাখের আজ এই দিনটা আমি খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছি আর যেটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম,, তো সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন,,,,
আল্লাহ হাফেজ।।