দুর্নীতি! (Corruption)!
![]() |
---|
আজকে বিভিন্ন কারণে মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হচ্ছিল এবং তার নিরিখেই নিন্মোক্ত শব্দগুলোকে ছন্দের আকার দেবার প্রয়াস করেছি।
পরিবার হোক, প্রতিবেশী, সমাজ, রাজ্য কিংবা গোটা যেকোনো দেশ, এক্ নজরে যদি ফিরে তাকানো যায় দৈনন্দিন ব্যস্ততা থেকে একটু সময় বের করে, দেখবেন সর্বত্রই কেবল অরাজকতা আর দুর্নীতি দৃষ্টিগোচর হবে।
মানুষের মধ্যে মানবিকতা, সহমর্মিতা সবটাই যেনো তোলা নিজের জন্য, নিজেকে ভালো রাখার জন্য।
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে কদর্য রূপ, ভাষায় নেই লাগাম!
সমাজ থেকে হয়তো ভদ্রতার মুখোশ পড়ে অভিনন্দন কুড়ানো সম্ভব, মেধা দিয়ে পুরস্কৃত তথা সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়;
তবে উভয়ক্ষেত্রেই বিষয়গুলি একটি মানুষকে অন্তর থেকে উন্নত করতে পারে না।
কারণ, সেটার জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন সেটা অনেকেই পেয়ে বড় হতে পারে না।
সমাজের চোখে ধুলো দিয়ে ক্ষণিকের যশ লাভ হয়তো সম্ভব কিন্তু তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন ঘরোয়া শিক্ষা।
যদি গোড়ায় গলদ রয়ে যায়, তাহলে অর্থ উপার্জন সম্ভব হলেও, পরিণতি কখনোই সুখকর হয় না।
গোটা বিশ্বে একাধিক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে সামাজিক সফলতা পাওয়া মানুষগুলো হয় শারীরিক নয়তো মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
অনেকেই পরিণতির কথা ক্ষমতা হাতে পেলে প্রায়শই ভুলে যান, আর বাইরে বেরিয়ে আসে ভিতরের কদর্য রূপ, নিজেদের সৃষ্টিকর্তা ভাবতে শুরু করে দেন
বেপরোয়া হয়ে কেবলমাত্র নিজের স্বার্থ সিদ্ধির কথা মাথায় রেখে ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন অন্যের ক্ষতি সাধনে।
তবে, সব কিছুর অবসান একদিন আসে, আর এই অবসান কেমন হবে, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে, ভিতরে থাকা একটি মানুষের নির্ভেজাল অস্তিত্ব।
সেটাই তো প্রকৃত অর্থে আমার আমি।
বাকিটা সামাজিকতা, অভিনয় আর কখনও কখনও দ্বিচারিতা।
নব প্রজন্মের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে পুরোনো মানুষ গুলোর আদর্শের সংজ্ঞা!
এটাই আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে যায় অন্তর থেকে।
কি করে ক্ষমতা পেলেই তার অপব্যবহার করে চলেছেন বিশ্বের নামচীন কর্তা ব্যক্তিরা!
যেখানে তারা নব প্রজন্মকে হাত ধরে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন, পরিবর্তে তারাও লোভের বশবর্তী হয়ে অনৈতিকতাকে আপন করে নিয়েছেন।
কি মূল্য এরকম শিক্ষার? এই পদমর্যাদার?
যেখানে কদর্য পরিণতি অপেক্ষারত।
রাজনীতি আজ ঘরে ঢুকে পড়েছে, সেখানেও হিসেব নিকেষ করে মানদণ্ড সম্মান পকেটের ওজনের অনুপাতে পরিবেশন করা হয়।
সভ্য পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে থাকে কুৎসিত মন, আর কিছু পরিস্থিতি এই রূপকে নিজের জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে উলঙ্গো করে দিয়ে যায়।
কারণ একটাই আর সেটা হলো দৃষ্টির আড়ালে রাখা হিসেব।
![]() |
---|
![]() |
---|
শরীরের বাহ্যিক রঙের দাগ উঠে গেলেও রয়ে যায় অন্তরের কালিমা চিরতরে |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
|
---|
নগ্ন তুমি, নগ্ন আমি
নগ্ন সারা বিশ্ব;
বুদ্ধিজীবী, যুব সমাজ বসে বসে
দেখছেন সে সমস্ত দৃশ্য!
ভালো নেই কেউ আজ;
প্রকৃতি হোক, বা হোক সমাজ!
কেনো এই অধঃপতন?
ভাবুন একটু নিয়ে যতন।
দয়া করে নিরপেক্ষ চিন্তা রাখবেন;
ভাববেন না, যে যার মতন!
যেদিন করেছিনু শৈশবের গণ্ডি পার;
সেদিন থেকেই শুরু আমি, সাথে আমার!
গোল বেঁধেছে সেই থেকে;
নিজ স্বার্থ মাথায় রেখে
গুনছে বসে কামাই!
উঁহু! ডিগ্রিতে কাজ হবে না;
মলিনতা ধোয়া যাবে না
যতই বড় ঘরের মাসি, পিসী,
বউ হোক, বা হোক জামাই।
নোট গুনতে ব্যস্ত সব আজ;
শিক্ষা, সম্মান, জাতি, সমাজ গঠনে,
রুচিহীন তাই গোটা সমাজ!
সামনে ভালো থাকলেই হলো;
গর্হিত কাজ, সমালোচনা, জোচ্চুরি
তাতে কি এসে গেলো?
আজ মরলে কাল দু'দিন;
উপভোগ শুধু আজকের সু'দিন!
কে ভালো আছে, মন্দ কে আছে,
তাতে আর কি যায় আসে?
ক্ষমতা থাকলে পাওয়া যাবে,
অমন বহু মানুষ পাশে!
গোলক ধাঁধার ফাঁদে পড়ে;
ক্ষমতার লোভে বর্বরতা করে,
ধুঁকছে গোটা বিশ্ব;
আর, আমাদের বুদ্ধিজীবী, যুব সমাজ?
ভরছে পকেট উপভোগ
করে এই সমস্ত অরাজকতার দৃশ্য।
আজকের কবিতাটি সেই সকল বিশ্ববাসীর জন্য যারা আত্ম স্বার্থের আড়ালে এক প্রকার ভুলতে বসেছেন তাদের মধ্যে থাকা মানুষটিকে, সেই শিক্ষাকে যা হিংসা শেখায় না, শেখায় হাতে হাত রেখে সুদূর প্রসারী ভবিষ্যতের অঙ্গীকার।
একসাথে সার্বিক উন্নয়নের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে সফলতার চাবিকাঠি।

