ঈদের কেনাকাটা
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।নতুন একটি টপিক নিয়ে আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম।আজকে আপনাদের সামনে ঈদের কেনাকাটা নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।
সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ ২ টি বড় উৎসব পালন করে থাকে।তার মধ্যে ঈদুল ফিতর অন্যতম।সম্পুর্ন ১ মাস সিয়াম(রোজা) পালন করার পর যথাযত মহিমায় পালিত হয় ঈদুল ফিতর।আরবি রমজান মাস পার করার পর আসে ঈদুল ফিতর।
ঈদ উপলক্ষে সবার মাঝে এক আনন্দ মুহুর্তে প্রকাশ পায়।সেই আনন্দ বাড়িয়ে দেয় ঈদ মার্কেট কেনার পরে।ধনী গরিব সকলেই নিজ সাধ্য মতো নতুন জামাকাপর কিনে ঈদের দিন গুলো উদযাপন করে।ছোট বেলায় দিনগুলো এখনো মনে পড়ে মায়ের হাত ধরে মার্কেট এ গিয়ে জামাকাপড় কেনা।সেগুলো বাড়িতে আনার পর লুকিয়ে লুকিয়ে বার-বার দেখা।ঈদের দিন হওয়ার আগে থেকে ইদের দিনের কাজ নিয়ে চিন্তা করা কত কিছু।সময়ের গতিতে আমরা বড় হয়ে গিয়েছি।এখন নিজের টুকু নিজেই করতে পারি।গত ২৬/৩/২৫ তারিখে আমি নিজের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম।
খুলনার সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় খুলনা সার্কেট হাউজ ময়দানে।যাওয়ার সময় সার্কেট হাউজ সাজানো দেখতে পেলাম সেখানে একসাথে ১০-১৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।
আমার বাসা খুলনা জেলায়।এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেট গুলোর অবস্থান খুলনা শহরের প্রানকেন্দ্র তে।স্থানগুলো যেমন শিববাড়ি, ডাকবাংলা ইত্যাদি।
বড় বড় শোরুম গুলোর অবস্থান শিববাড়িতে।যেখানে আপনি সকল ব্রান্ডগুলো দেখতে পারবেন।যেমন :ইজি,সেইলর,বিবরান্ট ইত্যাদি।এখানে দামাদামি করার কোনো সুযোগ নাই ফিস্কড প্রাইস।সাধারণত যারা দামাদামি তে পছন্দ করে না তাদের জন্য এই স্থান উপযুক্ত।
অন্যদিকে ডাকবাংলা তে সকল মানুষের সমাগম হয়।এখানে সকল বাজেটের মধ্যে পোশাক পাওয়া যায়।আমি গিয়েছিলাম ডাকবাংলা তে।এখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল।চারদিকে তাকালে ছোট ছোট দোকান দেখতে পারবেন। সেখানে একটা দোকান একটা পোশাকের উপর নির্ধারন করা।পাঞ্জাবির দোকানে আপনি পাঞ্জাবি ছাড়া আর কিছুই পাবেন না।ঠিক তেমনি শার্টের দোকানে শার্ট।সব মিলিয়ে সাধারন মানুষ তার সাধ্যমত কেনাকাটা করে এই মার্কেট গুলো থেকে।
দোকানগুলো ছেলে-মেয়ে বৃদ্ধ সকল মানুষের পোশাকের সমারহ ছিল।বাচ্চা দের জন্য আলাদা কিছু স্থান রাখা হয় যেখানে শুধু মাত্র বাচ্চাদের পোকাশ পাওয়া যায়।ঠিক তেমনি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্লেস আছে
কেনাকাটা র পরে কিছু জিনিস নিজেদের শরীরের সাথে মানানসই রাখতে পোশাক কার্টিং করে থাকে।এজন্য সেখানে আলাদা করে অনেক গুলো দর্জি দোকান বা কার্টিং ঘর রয়েছে।
সকলের মাঝে আনন্দ উপভোগ করার মাঝেই রয়েছে আনন্দ।সকল প্রতিবেশির খোঁজ খবর নিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করা উচিত।
|
আমি-আরিফুল ইসলাম।স্টিমিট আইডি-@apulam. জাতীয়তা:বাংলাদেশী।বর্তমানে আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত ডিসিপ্লিন এ ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।২০২৫ সালের ফেব্রয়ারি মাসের ৪ তারিখে যুক্ত হয়েছি।ফটোগ্রাফি করার প্রবল ইচ্ছাশক্তি রয়েছে।পাশাপাশি ভ্রমন পছন্দ করি।স্বপ্ন দেখি বিশ্ব ভ্রমন করার। |