নিজেকে মোটিভেটেড রাখুন
আমরা তো সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। প্রত্যেকটা মোবাইল ফোনের একটি ব্যাটারি লিমিট রয়েছে। ধরুন, পাঁচ হাজার এম্পিয়ার। আপনি সকালবেলা ফুল চার্জ দিয়ে ফোন নিয়ে বের হয়ে পড়লেন আপনার দৈনন্দিন কাজে। সারাদিন ফোন ইউজ করার পরে রাতে যখন বাসায় ফিরলেন তখন দেখলেন আপনার ফোনের ব্যাটারি একদম লো হয়ে গেছে। তখন আমরা কি করি? আমাদের ফোন গুলোকে চার্জে লাগিয়ে দেই। যেন পরবর্তী সময়ে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারি এবং মোবাইল ফোনের পারফরমেন্সও যেন আগের মতই ভালো থাকে।
আমাদের মোবাইল ফোন কতটা উন্নত হয়েছে কিন্তু তারপরও তাকে প্রতিদিন চার্জ দিতে হয়। এই বিষয়গুলো যদি আমাদের সাথে তুলনা করি তাহলে হয়তো এই বিষয়টা আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আমরাও মানুষ আমাদেরও কিছু চার্জের বিষয় রয়েছে। এই চার্জগুলোই হচ্ছে মোটিভেশনাল বিষয়। আমরা প্রত্যেকেই দৈনন্দিন নানান ধরনের কাজ করি। প্রত্যেকেই নানান ধরনের পরিস্থিতির শিকার হই কিন্তু এর মাঝে যদি আপনারা নিজেকে মোটিভেট রাখতে না পারেন তাহলে হয়তো মোবাইলের ব্যাটারির মতো আমাদের চার্জও ফুরিয়ে আসতে থাকবে।
নিজেকে ভালো রাখা, নিজেকে মোটিভেটেড রাখা এটা নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। কারণ আপনি যদি নিজেই ভালো না থাকেন তাহলে আপনি কখনোই অন্যকে ভালো রাখতে পারবেন না, নিজের পরিবারকে ভালো রাখতে পারবেন না। তাই নিজের বিষয়গুলোকে আগে বিবেচনা করা উচিত। একটি মানুষ যখন মোটিভেট থাকে তখন তার আশেপাশে কোন খারাপ বিষয় বস্তু আসতে পারে না। কারণ সে মোটিভেটেড রয়েছে। সে তার কাজের জন্য সেনসিটিবিলি ভাবে একটিভ রয়েছে। এমন অবস্থা থেকে সে কখনোই বের হয়ে আসতে পারে না। কিন্তু যার মধ্যে মোটিভেশনাল বিষয়গুলোর কমতি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই বিষয়টা খুব সহজেই করা সম্ভব। তাই নিজেকে মোটিভেটেড রাখার চেষ্টা করুন, ধন্যবাদ।