ফটোগ্রাফি পোস্ট- জাতীয় জাদুঘর হতে সংগ্রহ করা গ্রামীন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। চলে গেল ঈদ। সেই সাথে চলে গেল পবিত্র রমজান মাস। আবার এক বছর পর আমরা ফিরে পাবো এই রমজান মাস। জানিনা কে কতটুকু নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নিতে পেরেছি। যাই হোক প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমার আরও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। আসলে চলতে ফিরতে এত এত ফটোগ্রাফি করেছি যে প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলে জমে একেবারে মোবাইল কে হ্যাংঙ করে দিয়েছে। এই ফটোগ্রাফি করে শেষ হবে কে জানে।
.png)
আমার কাছে ফটোগ্রাফি করা একটি আর্ট। আর সেই ফটোগ্রাফি যদি করা যায় মনের মনের মাধুরী মিশিয়ে তাহলে কিন্তু ফটোগ্রাফি হয়ে উঠে বেশ আকর্ষনীয় এবং দৃষ্টিনন্দন। অবশ্য সবার পক্ষে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করা হয়ে উঠে না। তবে আমরা যদি ক্যামেরার লেন্স এবং ফোকাস বুঝে একটু সময় নিয়ে ফটোগ্রাফি করতে পারি তাহলে কিন্তু আমরাও একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার হতে পারবো। আর নিজেদের দক্ষতাকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারবো। তাই আমাদের উচিত হবে সুন্দর এই শিল্পটিকে সুন্দর করে শিখে নেওয়া।



যেহেতু শহরে বেড়ে উঠা তাই গ্রাম আর গ্রামীন পরিবেশ সেই ছেলেবেলা হতেই আমায় বেশ টানে। আর তাই তো মাঝে মাঝে মনে চায় গ্রামে উড়ে যেতে। কিন্তু সাধ আর সাধ্য কোনটাই নেই। তাই তো মাঝে মাঝে দুধের সাধ ঘোলে মিটাই। এই আর কি এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে একটু গ্রামীন পরিবেশের প্রকৃতি উপভোগ করি। কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে যে এমন করে গ্রামীন প্রকৃতির দৃশ্যগুলো তুলে ধরা আছে সেটা যদি সেখানে না যেতাম তা বুঝতেই পারতাম না। বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে। সেখানে যেয়েই এই দৃশ্যগুলো কে ক্যামেরা বন্দী করে রেখেছিলাম।


জাদুঘরের একটি তলার পুরোটাই শুধু বাংলার প্রকৃতি দিয়ে ঘেরা। আমার কিন্তু দারুন ভালো লাগছিল। আমি তো এরকম গ্রামের দৃশ্য দেখে প্রায় থো খেয়ে গিয়েছিলাম। নদীর পাড়ে ঘাট বাধাঁনো নৌকা গুলো কিন্তু বেশ দারুন ছিল। মনে হচ্ছিলো যেন আমি কোন গ্রামের নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দৃশ্য উপভোগ করছি। কি নিখুঁত ভাবে গ্রামের এমন দৃশ্য গুলো তুলে ধরেছে যে বলা বাহুল্য। তাই তো সেদিন আমি দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দী করে রেখেছিলাম।


তারপর যদি বলি বাকী দৃ্শ্যগুলোর কথা তাহলে তো বলে শেষ করা যাবে না। কোন দৃ্শ্য রেখে যে কোন দৃশ্য নিয়ে কথা বলবো সেটাই ভাবছি। একদিকে যেমন রাখালের গরু চড়ানো। অন্য দিকে কৃষকের ঘর আর উঠান। সব কিছুই যেন মনে হচ্ছিলো এ যেন সত্যিকারের কোন ঘর আর গ্রামের দৃশ্য। মনে হচ্ছিলো আমি নিজেই কোন গ্রামের বাড়ীর উঠানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এমন দৃশ্যগুলো উপভোগ করছি। সব কিছুই যেন মন কে বার বার নাড়া দিয়ে যাচিছলো।


গ্রামীন পটুভূমির এমন দৃশ্যগুলো দেখলে যে কারও মন বার বার ভরে যাবে। রাখালের গরু চড়ানো, জেলের জাল বোনা সহ গোয়ালের গুরু আর হাস মুরগীর দৃশ্য গুলো কিন্তু দারুন ছিল। সেই সাথে দারুন ছিল বাড়ীর উঠানে গ্রামের বউ জি দের বিভিন্ন কাজের দৃশ্যগুলো দেখতে। আমার তো বেশ ভালো সময় কেটেছে এমন দৃশ্যগুলো দেখে। জানিনা আপনাদের কেমন লাগলো।
Camera :Vivo y18
জানিনা আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আমার কাছে কিন্তু প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | ঢাকা , বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
