"স্বাগতার জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে স্বাগতার জন্মদিনের বিশেষ কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো। জন্মদিন প্রতিটি মানুষের কাছে স্পেশাল একটি দিন। গত মাসের ২১ মে আমার ছোট বোন স্বাগতার জন্মদিন ছিলো। ওর বিয়ের পর আমাদের বাড়িতে প্রথম জন্মদিন। পরিচয় হওয়ার পর থেকে ফোনেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। গতবছর জন্মদিনে ওর পছন্দের খাবার রান্না করে দিয়েছিলাম। প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল স্বাগতার জন্মদিনে সবকিছু আমাদের এখানে আমিই করবো। কিন্তু এ বছর শুরু থেকেই আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে আসছে। প্রথম থেকেই শরীরটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। অসুস্থতা আমাকে এবার ঘিরে ধরেছে। অনেককিছু ভেবেছিলাম কিন্তু কিছুই হয়ে উঠলো না। এদিকে আবার আন্টি মানে স্বাগতার মা খুবই অসুস্থ ছিলো। তবে এখন একটু ভালো আছে। ওই মুহুর্তে আন্টির কোথাও যেতে পারছে না। তাই তো আমার দেবর দুই দিকে সামলে নিয়ে খুবই সুন্দর এরেঞ্জমেন্ট করেছিলো। যদিও তাকে সাহায্য করেছিলো স্বাগতা নিজে। কারণ কিছুই করার ছিল না দুই দিকে দুই জন অসুস্থ। এখন আমি তো কিছুই করতে পারিনা। সারাদিন শুধু খেতেই পারি।
জন্মদিনের আগের দিন আমার দেবর কে বলেছিলাম লুকিয়ে একটা কেক নিয়ে আসবে রাতে একটা সারপ্রাইজ দিবো। আমার দেবর লুকিয়ে একাই সবকিছু সাজিয়ে ছিলো। আমি কিছুই করতে পারিনি শুধু অংশগ্রহণ করাই।
২০ তারিখে রাত বারটার পর কেক কাটার অনুষ্ঠান। হাতে সময় কম থাকার কারণে ছোট করে সাজানো হয়েছে। যদিও সবটাই আমার দেবর করেছে। এরপর টিনটিন বাবু আর তার কাকি মনি বেশ খুশি হয়েছে। আসলে টিনটিন বাবু তো কেক কাটতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু সে কেক খেতে খুব একটা পছন্দ করে না।
পরের দিন স্বাগতার জন্মদিন মহা ধুমধামে পালন করা হয়েছিলো তারই কিছু ফটোগ্রাফি। কেক কাটার সময় টিনটিন বাবু ওখানে ছিলো না। আসলে ভীষণ গরম ছিলো তাই টিনটিন বাবু এসির ভিতরে ছিলো। সত্যি বলতে বেশ হয়েছিলো দিনটি।
আজ এই পর্যন্তই। এরপর আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে চলে আসবো।